Header Ads

Header ADS

অধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন আইনস্টাইন।

 

পরকীয়ার জেরে নোবেল পুরস্কারের টাকা দিয়ে স্ত্রীকে তালাক আইনস্টাইনের।


আলবার্ট আইনস্টাইন নামটি মনে আসলেই একজন  সৌম্য দর্শন পুরুষের কথা আমাদের মাথায় আসে, বিজ্ঞানী হলেও তাকে নিয়ে তারকাদের মতো আগ্রহ রয়েছে। বিজ্ঞানী হিসেবে অনেক কিছু বদলে দেয়া এই মানুষটি সমালোচিত হয়েছেন ।

সর্বকালের সেরা পদার্থ বিজ্ঞানী  হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আইনস্টাইন  নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এটা আমাদের সবারই জানা, কিন্তু পুরস্কার থেকে পাওয়া টাকা আইনস্টাইন কি কাজে ব্যয় করেছিলেন, সেটা কি আমরা জানি? 

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আর এই দিনটাতে বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আইনস্টাইনের দীর্ঘদিনের বৈবাহিক জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে। যে বিচ্ছেদের জন্য তিনি খরচ করেছিলেন নোবেল পুরস্কার এর পুরো অর্থ।  এবং সেটা ছিল পুরোপুরি স্বেচ্ছায। 

আলবার্ট কিন্তু বাকপটু ছিলেন না, কিন্তু অধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সেকথা নিজ  মুখেই নাকি স্বীকার করেছেন অনেকবার। আর এই পরকীয়ার জেরে বিচ্ছেদ হয় আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী মিলেভার সঙ্গে।  দীর্ঘদিনের প্রেমের পর মিলেভার  সঙ্গে বিয়ে করেন আইনস্টাইন।

আর এই স্ত্রীর সম্বন্ধে বলেন, মিলেভা এমন একজন সৃষ্টি্‌ যে তার সমান এবং তার মতোই শক্তিশালী ও স্বাধীন। কারণ,  মিলেভা ও পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদ ছিলেন।

আইনস্টাইনের সাথে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জুরিখ পলিটেকনিকে একমাত্র নারী শিক্ষার্থী এবং গনিত পদার্থবিজ্ঞানে এই কোর্স সমাপ্ত করা দ্বিতীয় নারী। সন্তান নিয়ে ব্যস্ততা ও আলবার্ট এর সাথে আজ এখানে কাল ওখানে এটা করতে করতে তার নিজের পেশাগত জীবন আর দাঁড়ায়নি।

এই হতাশার সাথে যোগ হয় তালাকপ্রাপ্ত খালাতো বোন এলসার সাথে স্বামী আলবার্টের প্রেমের যাতনা। স্বামীর রুঢ় যাতনার শিকার হন মিলেভার। একসাথে সংসার করতে হলে আলবার্ট আইনস্টাইন কিছু অস্বামী সুলভ  শর্ত আরোপ করেন  স্ত্রী মিলেভার সঙ্গে।

তালাকের জন্য আইনস্টাইন ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।  শেষমেষ তার প্রথম স্ত্রী কে তালাকের জন্য মরিয়া হয়ে যে চিঠি লেখেন, তা অনেকটা ঘুষ দেয়ার মত। শেষে হুমকিও দিয়েছিলেন আইনস্টাইন । শেষমেষ ১৯১৯ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি আইনস্টাইন নিলুফার বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী এলসাকে  বিয়ে করেন আইনস্টাইন।

কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রী এলসার মৃত্যুর পরও  অজাতদের অভিযোগ ওঠে আইনস্টাইনের বিরুদ্ধে। স্বামী হিসেবে  যে তিনি আদর্শ নন এবং এক নারী নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা নন, নিজেই স্বীকার করে গেছেন সে কথা । আইনস্টাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, স্ত্রীর যন্ত্রণা দেখেও এড়িয়ে যেতে কাজের দোহায় দিয়ে দূরে সরে থাকতেন আইনস্টাইন। 

No comments

Powered by Blogger.